শুক্রবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৪

ঋতুপর্ণ ঘোষের নবম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার

সাংবাদিকের নাম

প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম

ভারতীয় কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের নবম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার (৩০ মে)। ২০১৩ সালের এইদিনে কলকাতায় নিজ বাসায় ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

১৯৬৩ সালের ৩১ অগস্ট কলকাতায় ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্ম। তার বাবা-মা উভয়েই চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাবা সুনীল ঘোষ ছিলেন তথ্যচিত্র-নির্মাতা ও চিত্রকর। ঋতুপর্ণ ঘোষ সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডিগ্রি অর্জন করেন।

ঋতুপর্ণ ঘোষ ছিলেন ভারতের এলজিবিটি সম্প্রদায়ের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। জীবনের শেষ বছরগুলিতে তিনি রূপান্তরকামী জীবনযাত্রা নিয়ে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করছিলেন। তিনি নিজের সমকামী সত্ত্বাটিকে খোলাখুলিভাবে স্বীকার করে নেন, যা ভারতের চলচ্চিত্র জগতের খুব কম মানুষ করেছেন।

চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে ঋতুপর্ণ ঘোষ কাজ করতেন বিজ্ঞাপন জগতে। সেখানে জনপ্রিয়তা পেয়ে আগ্রহী হন চলচ্চিত্রে। বিজ্ঞাপন জগত ছেড়ে ১৯৯২ সালে নির্মাণ করেন প্রথম ছবি ‘হীরের আঙটি’। এরপর ১৯৯৪ সালে এসে নির্মাণ করলেন ‘উনিশে এপ্রিল’। এটি ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রথম জাতীয় পুরষ্কার এনে দেওয়া চলচ্চিত্র। ছবিটিকে আজও বাংলা ছবির আর্কাইভে দারুণ এক সংযোজন বলে মানা হয়।

এরপর দহন, উৎসব, চোখের বালি, অন্তরমহল, সব চরিত্র কাল্পনিক, নৌকাডুবির মতো একের পর এক ছবি তৈরি করেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। তার ১২ টি চলচ্চিত্র জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়াও তিনি পেয়েছেন বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি।

চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি বাংলা সাময়িক পত্রিকা সম্পাদনাও করতেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইটগুলোতেও তিনি ছিলেন জনপ্রিয়।