শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

মহানবীকে কটূক্তির নিন্দায় জাতিসংঘের বিবৃতি

সাংবাদিকের নাম

প্রকাশিত: ২২ মার্চ, ২০২৪, ০৮:০৭ এএম

মহানবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপি নেত্রী নুপুর শার্মার অবমাননাকর মন্তব্যে উত্তাল পুরো ভারতসহ মুসলিম বিশ্ব। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশগুলোসহ এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ১৫টি দেশ বিজেপি সরকারের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দেশটিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাকও এসেছে।

এবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র ভারতের বহুল সমালোচিত এই ইস্যুতে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‌আমরা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতায় দৃঢ়ভাবে উৎসাহ জানাই।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফানে ডুজারিকেরি কাছে বিজেপি নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বৈশ্বিক নিন্দার ব্যাপারে সংস্থাটির অবস্থান জানতে চান পাকিস্তানি এক সাংবাদিক। জবাবে স্টেফানে ডুজারিক বলেছেন, আমি এই সংবাদটি দেখেছি। তবে আমি নিজে তাদের মন্তব্য দেখিনি। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি যে, আমরা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সহনশীলতায় দৃঢ়ভাবে উৎসাহ জানাই।

বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা গত মাসের শেষদিকে এক টেলিভিশন শোতে অংশ নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। আর দলটির নয়াদিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দাল নুপুর শর্মার সেই মন্তব্যের সমর্থনে টুইট করেন।

তাদের এই মন্তব্য দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করে তোলে। ভারতের কয়েকটি রাজ্যের মুসলিমরা বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। আর এর রেশ ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে বাইরের বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।

দেশে-বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে গত রবিবার অভিযুক্ত নুপুর শর্মাকে দল থেকে বরখাস্ত এবং জিন্দালকে বহিষ্কার করে বিজেপি। পরে বিজেপির এই দুই নেতা প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতিও দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মুসলিম বিশ্বের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ ও তোপের মুখে পড়েছে ভারত। কূটনৈতিক ক্ষোভও অব্যাহত রয়েছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বিভিন্ন দেশে এসব ক্ষোভ প্রশমিত করার চেষ্টা করেই চলেছে। নয়াদিল্লির দাবি, ভারত ও ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার সকল ধর্মকেই সম্মান করে।

ইরান, ইরাক, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, আফগানিস্তান, বাহরাইন, মালদ্বীপ, লিবিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া-সহ অন্তত ১৫টি দেশ ভারতের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।