সাংবাদিকের নাম প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:৩৫ এএম
টালিউডের উঠতি মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর মা বলেছেন, লোভ-উচ্চাকাঙ্ক্ষাই শেষ করে দিলো মেয়েটাকে। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন থেকে এই সিদ্ধান্ত মেয়ের। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। শুধু মঞ্জুষা নন, বিদিশা ও পল্লবীর মৃত্যুর কারণও অতিরিক্ত লোভ ও অল্প সময়েই উপরে ওঠার চেষ্টা, এমনটাই দাবি তার।
মঞ্জুষার মা জানান, বরাবরই বাইরের জগৎটা আপন মনে হতো মঞ্জুষার। বাইরের বন্ধু-বান্ধব নিয়েই মেতে থাকতো সে। পরিবারের অমতে গিয়েই নেশা করা, বাড়তি খরচ করা তার নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে উঠেছিলো। প্রচণ্ড উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন ছিলো তার। ৬ মাস আগে বিয়ে হয় তার।
তিনি বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুব ভালো ছিলো। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
অভিনেত্রীর মা জানান, মঞ্জুষার কাছের বান্ধবী বিদিশার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলো। বৃহস্পতিবার রাতে বার বার তার কথা বলছিলো। এমনকি মঞ্জুষা তার মা কে এও বলেন যে, ‘আমি মারা গেলে তোমার কাছেও সাংবাদিকরা আসবেন। আমার মৃত্যুর কারণ জানতে চাইবেন। তুমি কাঁদবে। মারা গেলে আর যন্ত্রণা থাকবে না।’
এইসব ৎশোনার পরে অভিনেত্রীর মা তাকে বোঝান। তখনো বেশ হতাশাগ্রস্ত লাগছিলো তাকে। রাতে শেষবারের মতো ফোনের চার্জার নিতে মায়ের কাছে আসেন মঞ্জুষা। আর তারপর শুক্রবার সকালে ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মঞ্জুষার।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মঞ্জুষা। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বিদিশার মৃত্যুর পরই হতাশায় ভুগতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। তার জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। মঞ্জুষার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মঞ্জুষার মায়ের কথা অনুযায়ী, তার মেয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকেই আজ এই পরিণতি। তবে মডেলের দেহ ময়াতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটবে।